করোনা ভাইরাসের লক্ষ্মণ কী?
রেসপিরেটরি লক্ষণ ছাড়াও জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।
এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে।
সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমেই শুরু হয় উপসর্গ দেখা দেয়, পরে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়।
সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচদিন সময় নেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কিছু কিছু গবেষকের মতে এর স্থায়িত্ব ২৪দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
মানুষের মধ্যে যখন ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেবে তখন বেশি মানুষকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে তাদের। তবে এমন ধারণাও করা হচ্ছে যে নিজেরা অসুস্থ না থাকার সময়ও সুস্থ মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে মানুষ।
শুরুর দিকের উপসর্গ সাধারণ সর্দিজ্বর এবং ফ্লু'য়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্থ হওয়া স্বাভাবিক।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অনেককে সার্স ভাইরাসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে যা ২০০০ সালের শুরুতে প্রধানত এশিয়ার অনেক দেশে ৭৭৪ জনের মৃত্যুর কারণ হয়েছিলো ।
নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়ঃ
নিজের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা যা করবেনঃ
১. ধূমপান বা মদ্যপান করবেন না।
২. গরম পানি দিয়ে প্রতিদিন গোসল করুন। সম্ভব হলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান কিংবা বডিওয়াশ ব্যবহার করুন।
৩. ঠাণ্ডা-জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন যেমন : আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্কস, জুস।
৪. ভিটামিন সি যুক্ত যেমন : লেবু, কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা ইত্যাদি প্রচুর পরিমানে খান।
৫. ভিটামিন ডি চাহিদা পূরণে প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘন্টা সূর্যের আলোতে বসুন।
৬. ঘনঘন সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
৭. ভালভাবে সেদ্ধ করা খাবার খান। যেমন : ডিম, মুরগিসহ যে কোন মাংস।
৮. অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৯. আদা চা, তুলশী চা, কালিজিরা, রসুন, মধু, ইত্যাদি পান করুন।
১০. প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। মনে রাখবেন ব্যায়াম করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ভাইরাস মারা যায়।
১১. হ্যান্ডশেক বা কোলাকুলি করবেন না।
১২. কাগজে নোট বা টাকা ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধূতে হবে।
করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। এটা সবাইকে আক্রমণ করতে পারলেও সবার মৃত্যু ঘটাতে পারবে না। আপনার শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তাই আক্রান্ত হওয়ার আগেই সতর্ক হোন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, বাসায় থাকুন। লেখাটি কপি-পেস্ট করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন।
যে কোন প্রয়োজনে— 16263 বা 333 তে ফোন করুন।